নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চলমান করেনা পরিস্থিতিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ‘ভার্চুয়াল বিচার কাযক্রর্ম পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার জারি করে।
দেশে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম চালু করতে প্রথমে এ পদ্ধতির মাধ্যমে শুধু জামিন আবেদন ও বেইল বন্ড দাখিল করতে পারবেন আইনজীবীরা। এজন্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সাইন আপ (নিজের প্রোফাইল তৈরি) করতে হবে সব আইনজীবীকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে , সাইন আপ করার পর নিজের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ভার্চুয়াল কোর্ট পোর্টালে প্রবেশ করতে পারবেন আইনজীবীরা।এ পদ্ধতিতে সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জে ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলেও
সিরাজগঞ্জের আইনজীবিদের অপারোগতায় সোমবার সিরাজগঞ্জে চালু হয়নি অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম। চলমান করেনা পরিস্থিতিতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে ‘ভার্চুয়াল বিচার কাযক্রর্ম পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতির বিশেষ নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার জারি করে। সরকারি এ সিদ্ধান্তটি রবিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নেতাদের জানানো হয়।
কিন্তু এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি নিতে না পারায় সোমবার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ বরাবর মৌখিকভাবে নিজেদের অপরোগতার বিষয়টি জানান। এ কারণে সোমবার থেকে সিরাজগঞ্জে ভার্চুয়াল বিচারকার্যক্রম চালু হয়নি। অথচ সোমবার থেকে সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জেও এ কার্যক্রম চালু হওয়ার সরকারী নির্দেশনা ছিল। এ নির্দেশনাটি রবিবার সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নেতাকর্মীদের কাছে পৌছে।
সোমবার থেকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থাকলেও বিচারকার্য পরিচালনার পূর্বঅভিজ্ঞতা ও প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক সরঞ্জামদি না থাকায় ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা ঈদের আগে সম্ভব নয় বলে জানান অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজ কুরুনি লকেট। তিনি বলেন, ফেসবুক চালানো এক জিনিস,আর অনলাইনে বিচারকার্য চালানো অন্য জিনিস। করোনা পরিস্থিতিতে সবার আর্থিক অবস্থাই ভাল না। এ ছাড়া ঈদের আর কয়েক দিন বাকী আছে। এর মধ্যে এ প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট জাহিদ হোসেন বলেন,অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল বিচার কার্য বা কোর্ট পরিচালনার পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ (ওয়াইফাই),এনড্রয়েট মোবাইল বা ল্যাবটপ আমাদের নেই। অনেকেই আর এ সব চালনাও জানেন না। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় প্রাকটিসের অভিজ্ঞতা অধিকাংশ আইনজীবীর নেই। তাই হঠাৎ করে এতো অল্প সময়ে এই ধরণের আদালত পরিচালনা করা খুবই কঠিন। সোমবার জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঈদের আগে এ ধরণের আদালত পরিচালনা সম্ভব নয় বলে অধিকাংশ সদস্য মতাতম দেন। অবশেষে সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়ে বিষয়টি জেলা আইনজীবি সমিতির পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজকে অবগত করা হয়।